ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন শুরুতে ক্রয় চাপে বাড়তে থাকে সূচক। তবে প্রথম ১০ মিনিট পর এর মাত্রা হ্রাস পেতে থাকে এবং ১ঘন্টা ১৫ মিনিট পর আবারও ঘুড়ে দাঁড়ায় বাজার। বুধবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২৬০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় কিছুটা টালমাটাল পুঁজিবাজার। যে কোম্পানিতে সামান্য লাভ করা সম্ভব সেই শেয়ার বিক্রি করেই মুনাফা তুলে নিচ্ছেন তারা। এ কারণে কোনো খাতের উত্থান দু-এক দিনের বেশি স্থায়ী হচ্ছে না। আর বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে না যাওয়ার প্রবণতা এর জন্য দায়ী। তারা কোনো কোম্পানিতেই পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না নয়তো অল্প লাভেই সন্তুষ্ট হচ্ছেন। তবে নির্বাচনের আগে সারা পৃথিবীতেই কম-বেশি বিদেশি ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে জড়িত হয়। বড় শিল্পপতিরা বাজারে যুক্ত হন। এতে করে বড় ফান্ড যখন বাজারে আসে, তখন ভালো শেয়ারগুলোর দাম বাড়ে। সে দিক বিবেচনায় সামনে আমাদের পুঁজিবাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬২৮৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২২৫৯ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩১১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টির, দর কমেছে ৯৩টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ৬২টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২৬০ কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
অথচ এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৬৩০৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৩৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২৬৬ পয়েন্টে। সে সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩০১ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৭৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টির, দর কমেছে ৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।